ভারতীয় কারিগরি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) ডে-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে। দুই দেশই মনে করে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমপ্রসারণ ও বাণিজ্যিক অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে। যা দুই দেশের মানুষের সম্পর্কের শক্তিশালী গাঁথুনি। আমরা বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক কাঁধে কাঁধ রেখে এগুতে চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলশীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে আলোচনা সভা ও অভ্যর্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. রাজীব রঞ্জন আরো বলেন, ভারত প্রতি বছরই নানা পেশার মানুষের দক্ষতা বাড়াতে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। তারই আলোকে ভারতের স্বনামধন্য ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পেশার মানুষ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কর্তাব্যক্তি আইটেক প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের পেশাগত মান উন্নয়নে উপকৃত হয়েছেন। প্রোগ্রামটি পুরোপুরিভাবে ভারত সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে থাকে। যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬০টি দেশের পেশাজীবিরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা সংস্কৃতিসহ সব পেশার উন্নয়নে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত সহযোগিতা করছে, আগামীতেও করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামস্থ সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি উদত ঝাসহ প্রাক্তন আইটেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নৃত্য ও দুই গুণী শিল্পীর গান পরিবেশিত হয়।
১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচির প্রচলন করা হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও উপযুক্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতি বছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য ১৬১টি সহযোগী দেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আইটেক সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রধানতম এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।












