বাঁশখালীর ১১জন পুড়িয়ে হত্যা বিচার হয়নি ১৯ বছরেও

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ায় ১১ জন নারী, পুরুষসহ ৪ দিনের নবজাতককে বর্বরভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ১৯ টি বছর পেরিয়ে গেছে। এত বছরেও মামলার বিচার হয়নি। ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর হায়নার দল আগুনে পুড়িয়ে মারে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুরে শীলপাড়ার তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), বকুল বালা শীল (৬০), অনিল কান্তি শীল (৪০), স্মৃতি রানী শীল (৩২), সোনিয়া শীল (৭), রুমি শীল (১২), বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭), এ্যানী শীল (৭), ৪ দিনের শিশু সন্তান কার্তিক এবং বান্দরবান থেকে বেড়াতে আসা তেজেন্দ্র শীলের ভায়রা দেবেন্দ্র শীলকে। যথাসময়ে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় আলোচিত এ মামলাটি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১৯ বছরে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হলেও বাকিদের গ্রহণ করতে না পারায় কোনো ধরনের কুল কিনারা হচ্ছে না। চট্টগ্রামের তৃতীয় দায়রা ও জজ আদালতে চলমান এ মামলার পরবর্তী শুনানি তারিখ রয়েছে ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৮ সালের ২৩ জুন এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য জজকোর্টকে নির্দেশ প্রদান করলেও নানা কারণে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটির বিচার কাজ চলছে। ৩৮জন আসামির মধ্যে ১৮জন জামিনে আছে। কারাগারে আছে একজন। ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এখনো পলাতক আছেন ২০জন। এদিকে ২০০৩ সালে ১৮ নভেম্বর ঘটনার পর সাধনপুর শীল পাড়ায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হলেও বর্তমানে সেই ক্যাম্পের কোনো কার্যক্রম নেই বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে চলতি বছরের ২২ জুলাই তেজেন্দ্র শীলের তিন পুত্রকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামু সেনানিবাসে এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতার সমাপনী
পরবর্তী নিবন্ধপ্রস্তুতি ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে হারাল ঘানা