২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার মামলায় ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে আটজনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৬ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলম ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মকতুল হোসেন, মো. নূর, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক ওরফে বুদইন্যা, মো. জানে আলম, মো. লোকমান, মো. এনায়েতুল্লাহ ও নুরুল মোস্তফা। পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল নূর, আব্দুল জলিল ও মো. মোজাহের মিয়া। এরমধ্যে মো. মোজাহার মিয়া উক্ত চালানের মালিক। অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আহমদ ছফা, আবুল কাশেম ওরফে একে খান, আমির হোসেন, নূর আলম ওরফে বাবুল ওরফে নুরুল আলম, মো. কফিল ও মো. মানিক।
আদালত সূত্র আরো জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল সকালে ২০ লাখ পিস ইয়াবাসহ বঙ্গোপসাগর থেকে এফভি মোহছেন আউলিয়া নামের মাছ ধরার একটি ট্রলার আটক করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। পরদিন র‌্যাব-৭ এর ডিএডি অমল চন্দ বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। সংস্থাটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে ২০১৮ সালের এপ্রিলে ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১০ মার্চ চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহিষ্কার একজন, অনুপস্থিত ২৩৭৭ জন পরীক্ষার্থী
পরবর্তী নিবন্ধকরণিকের ভুল, ১২ বছর পর পেলেন সংশোধনকৃত খতিয়ান