জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসাবে সন্দ্বীপেও দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী কোনো কৃষি জমি অনাবাদি না রাখার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়া যেসব কৃষি জমি পরপর তিন বছর ধরে অনাবাদি হয়ে আছে সেসব জমি খাস করা হবে বলে জানিয়েও প্রচার চালিয়ে আসছে ভূমি অফিস।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সন্দ্বীপে অনাবাদি জমি খাসকরণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলার হারামিয়া মৌজার ১৩টি দাগের প্রায় ২ দশমিক ৭ একর অনাবাদি জমিতে লাল পতাকা ও নোটিশ টাঙিয়ে খাসকরণের কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা ভূমি অফিস। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈন উদ্দীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পরপর ৩ বছর কৃষি জমি অনাবাদি থাকায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জমি খাসকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তবে জমির মালিকের যদি আপত্তি থাকে এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ দর্শানো সাপেক্ষে তার আবেদন ডিসি কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনাক্রমে উক্ত জমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।