পাকিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ অনেকগুলো ভুলের কারণে। বরাবরের মত এই ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটিং। শুরুটা ভালই হয়েছিল। প্রথম তিনজন ভালই করেছে। কিন্তু মিডল অর্ডারে সাকিব, মোসাদ্দেক, সোহানরা ব্যর্থ শতভাগ। যেভাবে শুরু হয়েছিল তাতে রান হওয়ার কথা ছিল ১৬০/১৬৫। কিন্তু আমরা থেমে গেছি ১২৭ রানে। আর পাকিস্তানের মত দলের বিপক্ষে ১২৭ রান নিয়ে আর যাই হোক লড়াই করা যাবে না।
সাকিবের আউট নিয়ে কথা বলছে সবাই। যদিও ফিল্ড আম্পায়ার এবং টিভি আম্পায়ার দু পক্ষই আউট দিয়েছে। তবে আরো সময় নিয়ে দিলে সিদ্ধান্তটা ভালো হতে পারতো। তাই বলে সাকিব আউট হওয়াতেই কি ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে? বিষয়টা তেমন, আবার তেমন নয়ও। ওই সময় সাকিব থাকলে হয়তো একটা ভাল ইনিংস খেলতো, আর বাংলাদেশের রান গিয়ে দাড়াতো সেই ১৬০/১৬৫। আবার সাকিব পারেনি বলে কি অন্যরা পারবে না ? প্রকৃত অবস্থা কিন্তু সেটাই হয়েছে। রান হয়নি বলে সাকিবের আউট নিয়ে কথা হচ্ছে বেশি। পুরো টুর্নামেন্টে বলতে গেলে আমাদের মিডল অর্ডার ক্লিক করতে পারেনি মোটেও। বারবার পরিবর্তন এনেও কোনো লাভ হয়নি।
এরপর আপনি যদি বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে আসেন তাহলে সেখানেও ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। প্রথম ওভারেই ক্যাচ ছেড়ে দিলেন সোহান। তাও রিজওয়ানের মত ক্রিকেটারের। সহজ রান আউট করতে পারল না। পায়ের ফাঁক দিয়ে বল বেরিয়ে গেছে। এত স্বল্প রান নিয়ে লড়াই করতে গেলে যেখানে হাফ চান্সকে ফুল চান্স করতে হবে সেখানে ফুল চান্স গুলোকেও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা বারবার ভুল করেছি। অথচ শুরুটা দেখেন ৭৩ রানে ২ উইকেট। কিন্তু পরে কি হলো। সবাই ব্যর্থতার মিছিলে। এভাবে আসলে বড় ম্যাচ খেলা যায় না। দায়িত্বশীল ভুমিকা নিতে হবে দলের সবাইকে।
ব্যাটসম্যানরা ভালো একটা স্কোর গড়ে দিলে সেটা বোলারদের জন্য সাহস হয়। লড়াই করার শক্তি যোগায়। কিন্তু আপনি যখন স্কোর বোর্ডে ১২০/১৩০ করবেন আবার বোলারদের ক্যাচ ছেড়ে দেবেন, রান আউট করতে পারবেন না তখন ম্যাচ জেতাটা সত্যিই কঠিন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই দেখা গেছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছে চরমভাবে। আবার বোলিংয়েও ঘটেছে তেমন ঘটনা। শুরুর দিকে ভালো বোলিং করে দিয়েছে স্ট্রাইক বোলাররা। কিন্তু মাঝখানে গিয়ে বাকিরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। বারবার একই ভুল করলে ম্যাচ জেতা অসম্ভব। যেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন সে সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগুতে হবে সামনের দিকে।