নির্বাহী ক্ষমতা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায় জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠাতে এখনই সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। তিনি বলেছেন, অবশ্যই নির্বাহী ক্ষমতা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায় এবং বাড়ানো যায়। আপনারা যদি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা পড়েন এবং নির্বাহী আদেশটি দেখেন তাহলে দেখা যাবে ওখানে বলা হয়েছে, স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত মানে এটি যেকোনো সময় চালু করা যাবে।
গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংবিধান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনও চিন্তাভাবনা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলেছেন, বাড়াবাড়ি করলে। খবর বিডিনিউজের।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে দেশে করোনা মহামারী হানা দেওয়ার আগে ২০২০ সালে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি, এখন তিনি বাসায় রয়েছেন।
এদিন সংবিধান দিবসের সেমিনারে বক্তারা আইনমন্ত্রীর কাছে সংবিধান সংশোধনীর সময় রাষ্ট্রধর্ম বাদ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলাম ধর্ম (রাষ্ট্রধর্ম) হবে না কেন? এই যে চিন্তাটা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এ চিন্তা থেকে আগে বের করে আনতে হবে। আমাদের এটার (ধর্মনিরপেক্ষতা) জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ রাখার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার যাতে কায়েম করা যায়, সেজন্যই আমরা সরকার গঠন করেছি এবং সরকারে কাজ করছি। এখন যদি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কোনো আইন করার ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিই, তাহলে তো আমি যে ম্যান্ডেট নিয়ে পাস করে এসেছি, তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া হবে। সেই ক্ষমতা কিন্তু জনগণ আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেয়নি।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের অনেক কিছুই ফিরে পেয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আর কিছুটা ফিরিয়ে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে কিছুটা বাধা-বিপত্তি এসেছে এবং এটি এখন সাবজুডিস ম্যাটার। আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তার কারণ আমরা বাহাত্তরের মূল সংবিধান ফিরে পেতে চাই। কখন, কিভাবে কোন বাস্তবতার নিরিখে এটা করা হবে, সেটা দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।












