পানির ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ

স্বামী লাপাত্তা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

সাত মাসের শিশুকে বাড়িওয়ালার জিম্মায় দিয়ে থানায় ‘স্ত্রী নিখোঁজের’ জিডি করতে গিয়েছিলেন তিনি। পরদিন বাসার ছাদের পানির ট্যাংকে স্ত্রীর লাশ মেলার পর থেকেই লাপাত্তা স্বামী মো. হাসান। গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় ওই নারীর লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। হতভাগা সর্জিনা আক্তারের (২০) বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুরে। বন্দর টিলা আয়শার মার গলির খলিল হুজুর ভবনের পঞ্চম তলায় স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। তিনি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সর্জিনার স্বামী মো. হাসান নগরীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তারা ভবনটিতে থাকতেন। দুই দিন আগে হাসান তার সাত মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বাড়িওয়ালার কাছে রেখে তার স্ত্রী ঘরে ফিরলে তাকে দিতে বলে বের হয়ে যান। আবার শুক্রবার ইপিজেড থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করতে গিয়েছিলেন।

শনিবার দুপুরের পর ছাদের পানির ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাকে বলেন। এসময় ট্যাংক খুলে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তিনি জানান, অন্তত দুই দিন আগে সর্জিনার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ ট্যাংকে ফেলে যায় হাসান। তবে ট্যাংকটির পানি ব্যবহার না হওয়ায় বিষয়টি কেউ টের পায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু : স্পিকার
পরবর্তী নিবন্ধপ্রাইভেট কার আটকে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ