বলতে গেলে সেমিফাইনালে খেলার আশা অনেকটাই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তারপরও একটা ক্ষীণ আশা টিকে আছে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। তবে তাতেই সুযোগের শেষ দেখছে না বাংলাদেশ দল। জটিল সমীকরণের খেলায় এখনও আশায় বুক বেঁধে আছে টাইগার শিবির। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। কিন্তু এবার শেষের আগেই শেষ যেন না হয়, এজন্য টিম ম্যানেজমেন্ট সতর্ক বলে জানালেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তবে যে ক্ষীণ আশা এখনো টিকে আছে সেটা আলোর মুখ দেখতে হলে আগে হারাতে হবে পাকিস্তানকে। তারপর অনেক হিসেব নিকেষ আর জটিল সমীকরণ। আপাতত পাকিস্তানকে হারানোর আশায় বাংলাদেশ। টিম মিটিংয়ে দলের কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম জানিয়ে দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ বাকি। আর সে ম্যাচে জেতার জন্য নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে। গোটা দল তাই প্রস্তুত হচ্ছে রোববারের অপেক্ষায়। সেদিন প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস যদি অঘটন ঘটাতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাহলে বাকিটুকু বাংলাদেশের হাতেই। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত টাইগারদের। অনুশীলন শেষে সেই আশার কথা জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এই গ্রুপে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এখনও যে কোনো কিছু হতে পারে। মিরাকল হয়ে যেতে পারে। মূল লক্ষ্য থাকবে শেষ ম্যাচটায় একই স্পিরিট নিয়েই যাব। ভালো খেলে জিততেই চাইব। যদি ম্যাচ জিততে পারি, পরে কী হবে ক্যালকুলেশন পরে দেখা যাবে। মূল লক্ষ্য পরের ম্যাচটা জেতা। সেমিফাইনাল নিয়ে সরাসরি প্রশ্নে অবশ্য একটু সতর্ক হয়ে গেলেন তিনি। তাসকিন বলেন, আসলে ওখানে অনেক ক্যালকুলেশনের বিষয় আছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ম্যাচটা জেতা। সেমিফাইনালে যাওয়া হবে কী হবে না সেটা তো বলতে পারছি না। কিন্তু মূল চাওয়া পরের ম্যাচ জেতা। অন্যান্য দলের ম্যাচগুলির ওপর দল খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখছে। টিভিতে দেখে কিংবা স্কোর দেখে খোঁজখবর রাখছেন সবাই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় যেমন বেশ নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। যদিও সবকিছু নিজেদের হাতে নেই এখনও। তবু একটু হলেও বেড়েছে সম্ভাবনা। মিরাকল কিছু ঘটতে পারে বলে আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। নেদারল্যান্ডস যদি চমক দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েও দেয় তাহলে বাংলাদেশ কি পারবে পাকিস্তানকে হারাতে?
কারণ পরিসংখ্যান কথা বলছে পাকিস্তানের পক্ষে। দুই দলের সবশেষ ৮ টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মুখোমুখি ১৭ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ১৫টিতেই। বাংলাদেশের দুই জয়ের একটি ২০১৫ সালে আর অন্যটি ২০১৬ সালে। শক্তি-সামর্থ্যেও পাকিস্তান এগিয়ে যোজন যোজন। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে বাংলাদেশ নামবে পরিষ্কার আন্ডারডগ হিসেবে। সেই বাস্তবতাও মেনে নিচ্ছেন তাসকিন। তবে জয়ের আশা করতেও তো বাধা নেই। আসলে টি-টোয়েন্টি খেলাটায় অনুমান করা কঠিন। যে কোনো কিছু হতে পারে। একটা ওভারে ম্যাচের গতিপথ বদলে যেতে পারে। আমরা বোলাররা যদি ভালো বোলিং করতে পারি এবং যদি আগে বোলিং করে ওদের যদি ১৫০-১৬০ রানের মধ্যে আটকাতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের তা তাড়া করা সম্ভব। আর আগে যদি ব্যাটিং করি, ভালো যদি স্কোর হয়, আমাদের ডিফেন্ড করার সামর্থ্য আছে।