বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নন্দিনীর কারকাস পুরস্কার অর্জন

রিতু পারভী | শুক্রবার , ৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

সাহিত্যে আর্থিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ এবং পুষ্ট এক পুরস্কারের নাম কারকাস সাহিত্য পুরস্কার। কারকাস রিভিউ-এর সবচেয়ে বেশি পঠিত এবং সবচেয়ে বেশি তারকাচিহ্নিত বইগুলোর মধ্য থেকে এই পুরস্কার নির্দিষ্ট করা হয়। তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বছর সময়কালের হিসেবে জনপ্রিয় বইগুলোকে প্রাথমিক নির্বাচনে রাখা হয়। এ-বছর ১৪৩৬ টি বইয়ের মধ্য থেকে প্রতিটি সেকশনে আলাদা করে ছয় জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
ফিকশন, নন-ফিকশন এবং তরুণ পাঠকদের বই এই তিন ক্যাটাগরিতে কারকাস পুরস্কার প্রদান করা হয় যার আর্থিক মূল্যমান পঞ্চাশ হাজার ইউএস ডলার। এবারের ২০২২-এর নবম আসরে কারকাস সাহিত্য পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশের নাম আরেকবার বিশ্বের দরবারে আলোচনায় নিয়ে এলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং আমেরিকান লেখক তন্বী নন্দিনী ইসলাম। নন-ফিকশন বিভাগে ‘ইন সেন্সোরিয়ামঃ নোটস ফর মাই পিপ্যল’ বইয়ের জন্য তন্বী নন্দিনী ইসলাম এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।
চল্লিশ বছর বয়সী নন্দিনী ইসলাম আমেরিকার একজন কথাসাহিত্যিক এবং সুগন্ধি ব্যবসায়ী, ব্রুকলিন প্রসাধন ও সুগন্ধি প্রতিষ্ঠান তানাইস এর প্রতিষ্ঠাতা। সবশেষ নির্বাচিত ছয়টি বই হতে তন্বী নন্দিনী ইসলামের ‘ইন সেন্সোরিয়ামঃ নোটস ফর মাই পিপ্যল’ কে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করতে বিচারকরা এর সাহসী, উদ্ভাবনী দক্ষতা, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং ছান্দসিক অলঙ্করণ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এও উল্লেখ করেন, বইটি সুগন্ধি এবং ঘ্রাণকে মূল কাঠামোতে রেখে সমাজে নারী, লিঙ্গ, চামড়ার রং ইত্যাদি নিয়ে প্রচলিত ধারণার মুখোমুখি দাঁড়ায়। এর পঠন প্রলুব্ধ করার মতো, ভীষণ প্রাণবন্ত এবং অতুলনীয়।
তন্বী নন্দিনী ইসলাম ৫ অক্টোবর ১৯৮২ সালে আমেরিকার ইলিনয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কাটে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে। হিউস্টন, কলাম্বিয়া, সেইন্ট লুই হয়ে সর্বশেষ ব্রুকলিনে থিতু হন। ইউম্যান স্টাডিজে স্নাতক নন্দিনী কমিউনিটি সংগঠক হিসেবে নিউইয়র্কে প্রথম কাজ শুরু করেন। শ্রমজীবী শ্রেণিকে স্বাবলম্বী করাই ছিল এই অলাভজনক সংগঠনটির কাজ। ২০০৬ এ ‘ব্রাইট লাইনস’ নামে প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করেন তিনি। এই সময়েই তিনি সুগন্ধি নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন।
‘ইন সেন্সোরিয়াম: নোটস ফর মাই পিপ্যল’- এ খুব আদিম এক অনুভূতিতে তীক্ষ্ম আলো ফেলে চমৎকার এবং মূল্যবান এক স্মৃতিকথা বয়ান করেছেন যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের এক সমালোচনামূলক এবং বিকল্প পরিচয় তুলে ধরেছেন, একজন আমেরিকান বাংলাদেশি মুসলিম নারীর দৃষ্টিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যক্তি সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে গিয়ে দলকে সংগঠিত করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধযাদের ভুলব না