৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন

জিনাত সোহানা চৌধুরী | বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। পনেরই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে পনেরই আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় তারই চার ঘনিষ্ঠ সহচরকে এমন নির্মমভাবে হত্যা ঘাতকদের মূল উদ্দেশ্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছিলো। ইতিহাস জানায়, সেদিন কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদশায় জাতীয় এই চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। কারাগারের কঠোর নিরাপত্তা প্রকোষ্ঠে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসামপ্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূ-লুণ্ঠিত করা। অবৈধ শাসকরা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। স্বাধীনতাবিরোধী সামপ্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি এখনও নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে ‘এই অপশক্তির যে কোনও অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমার পরম চাওয়া
পরবর্তী নিবন্ধবিভীষিকাময় রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস