চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগর উন্নয়নে যে ২ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সেই টাকা দিয়ে নগরীর উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে হবে। আগামী ডিসেম্বরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে নগরীর সড়ক সমূহের উপর চাপ পড়বে; সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিকভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কর্তন ফি’র বাইরে অনুমতিহীন সড়ক কাটলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও চসিকে দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। তিনি ওয়াসাকে সড়ক কাটতে হলে তা ছয়মাস আগে চসিককে অবহিত করার আহ্বান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চসিকের পুরাতন নগর ভনের কে বি আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২১তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চসিক সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ।
রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা কর আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন না করলে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। তিনি রাজস্ব বিভাগকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। এছাড়াও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এমনকি চাকরিচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আয়বর্ধক প্রকল্পের মাধ্যমে চসিককে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে সে সমস্ত প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। নগরীর কোথায় কোথায় সিটি কর্পোরেশনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জানানোর জন্য বলা হলেও অদ্যাবধি সেই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এছাড়া চসিকের যে সকল মার্কেট রয়েছে সেগুলোর কী অবস্থা, আয়ের পরিমাণ কী তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। এমনকি চসিকের যে ভূ-সম্পত্তিগুলোর নামজারি পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। তিনি এস্টেট শাখাকে তিনভাবে বিভক্ত করে ভূ-সম্পত্তি শাখাকে গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই সাথে সভায় ভূ-সম্পত্তি শাখার জন্য আলাদা একটি স্থায়ী কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, চসিক এলাকায় কোনো সড়ক বাতি না জ্বললে সেই এলাকার সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, শহরে আলোকায়নে বাল্ব, টিউব লাইটসহ প্রয়োজনীয় সকল মালামাল অন্তত ৬ মাসের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। সভার শুরুতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত এলিভেটর এঙপ্রেস ওয়ের উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।