চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি)ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত না থেকেই সহ-সভাপতি হওয়ায় মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সহ-সভাপতি নামিউল হক তোফায়েল।
তিনি শাখা ছাত্রলীগের ১১৮ জন সহ-সভাপতির মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নামিউল হক তোফায়েল চবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
মারধরকারীরা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভিএক্স অনুসারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত না থেকেই সহ-সভাপতি হওয়ার জের ধরে তোফায়েলকে মারধর করা হয়।
এ সময় খবর পেয়ে অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধরসহ কয়েকজন শিক্ষক তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী নামিউল হক তোফায়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর বলেন, তোফায়েল অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। আজ দুপুরে পরীক্ষা শেষে তোফায়েলকে কয়েকজন শিক্ষার্থী জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাদের বাধা দিলে তারা তোফায়েলের সঙ্গে কথা বলবে বলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমরা কয়েকজন শিক্ষক তোফায়েলকে ঝুপড়ি থেকে নিয়ে আসি। পরে শিক্ষক-বাসে করে শহরের মুরাদপুরে তাকে নামিয়ে দিই।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ভিএক্সের নেতা সাদেক হােসাইন টিপু বলেন, রাজনীতি না করে সে কীভাবে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়? অথচ যারা ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন রাজনীতি করছে, তারাও অনেকে পদ পায়নি। তোফায়েলের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন আছে। এজন্য আমাদের জুনিয়ররা তার সঙ্গে কথা বলেছে। তাকে মারধর করা হয়নি।
সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। দুইজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র না মেনে চবি ছাত্রলীগের ৪২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ১১৮ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়। যেখানে সর্বোচ্চ ২০০৮-০৯ সেশন থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ২০১৮-১৯ সেশন পর্যন্ত সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত ও নিষ্ক্রিয় কর্মীদের পদায়নের অভিযোগ ও বর্ধিত কমিটির দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।