বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে দেশের সবকটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলে ৫-৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। গতকাল সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে কঙবাজার সমুদ্র সৈকতে পযটকের সমাগম তেমন নেই। এর পরও সৈকতে থাকা পর্যটকের সংখ্যা তেমন বেশি না হলেও তাদের কাউকে কাউকে একেবারে পানিতে নামতে দেখা গেছে। তবে উত্তাল সমুদ্রে যেন কেউ ঝাঁপ না দেয় তার জন্য সতর্ক আছে লাইফগার্ড-বিচকর্মী-ট্যুরিষ্ট পুলিশ। উড়ানো হয়েছে লাল পতাকা।
এ দিকে বৈরি আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া চার শতাধিক পর্যটককে কঙবাজারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। কঙবাজার, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। যে সব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন, তাঁদেরকে জাহাজে করে কঙবাজার ফিরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কঙবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানান, ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সবধরনের সতর্কতা ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম গঠন ও সার্বিক বিষয়ে তদারকির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।












