নগরীতে চাঞ্চল্যকর ইলমা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মনিরুল মোল্লা মনিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুরিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম মেট্রো। পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে একটি টিম গত ২১ অক্টোবর বিকালে বাগেরহাট জেলাধীন মোড়লগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামি মনির বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানা এলাকার মৃত আমির আলী মোল্লার ছেলে।
পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান আজাদীকে জানান, ইলমা হত্যা মামলার আসামি ইলমার মা বিউটি আক্তারের সাথে জনৈক হাসানের ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। ওই সংসারে হোসনে আরা আক্তার ইলমা নামে ৭ বছরের একটি সন্তান ছিল। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় আসামি বিউটি আক্তার তার মেয়েসহ পৃথকভাবে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার বছর খানেক আগে থেকে ইলমার মা বিউটি আক্তার প্রধান আসামি মনিরের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিল। বিবাদী বিউটি আক্তার ও মনির হোসেন একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের বিয়েতে মেয়ে ইলমা বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিউটি ও মনির।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে বিউটি আক্তারের নির্দেশে মনির ইলমাকে শারীরিক নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। বিষয়টি টেলিফোনে বিউটি আক্তারকে জানালে সে মনির হোসেনকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়। ঘটনার পরপরই আসামি মনির অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করে। ইলমা হত্যার বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে ২১ অক্টোবর প্রধান মনিরকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, সে একজন রিকশাচালক। তার সাথে বিউটি আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
ইলমাকে ১৫ অক্টোবর মনির পেটে জোরে ঘুষি দেয়। ইলমা জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে এবং একসময় মারা যায়। বিষয়টি বিউটিকে জানালে সে মনিরকে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে কৌশলে সে বাগেরহাট জেলায় আত্মগোপন করে। মনিরকে গতকাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।