টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ ম্যাচে অনায়াস জয় দিয়ে শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে। ইংল্যান্ড উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানকে। নিউজিল্যান্ডের জয় এসেছে দীর্ঘ অপেক্ষার পর। ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম জয় পেয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০১ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১১১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দিয়ে, ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে কিউইরা। সর্বশেষ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচটি ছিল একটি টেস্ট ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে জিতেছিলো তারা। সেই শেষ।
এরপর দেশটির মাটিতে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে কিউইরা। কিন্তু কোনো জয়ের দেখা পায়নি তারা। এরমধ্যে ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালও। সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১১১ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে প্রতিবেশী দেশটির কাছে এটাই সবচেয়ে বড় হার অ্যারন ফিঞ্চদের।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তারা হারিয়ে ফেলে উদ্বোধনী ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ৬ বলে ৫ রান করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চও ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হন। তাদের বিদায়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করে ইশ সোধির বলে বোল্ড হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিউইদের পক্ষে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি, তিন উইকেট নেন মিচেল সান্টনারও। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের বিধ্বংসী শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার।
অ্যালেন ফেরেন ৪২ রান করে। তার বিদায়ের পর উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বাধেন কনওয়ে। দুজন মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। উইলিয়ামসন ফিরলে আরেক প্রান্তে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। ইনিংসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে ৯২ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জিমি নিশাম। অজিদের পক্ষে ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।
এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের শুরুটা হয়েছে বিবর্ণ। পার্থ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের জয় আসে ৫ উইকেটে। ইংল্যান্ডের বোলিং হয়েছে দারুণ। ফিল্ডাররা নেন অসাধারণ কিছু ক্যাচ। স্যাম কারানের তোপে আফগানিস্তান গুটিয়ে গেল অল্পতে। রান তাড়ায় চেনা দাপট দেখাতে না পারলেও জয়টা অনায়াসেই পায় ইংলিশরা। ১১৩ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ১১ বল হাতে রেখে। জয়ের নায়ক কারান।
এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইংল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে এই সংস্করণে ৫ উইকেট নেন স্রেফ ১০ রান দিয়ে। ৩ উইকেটে ৮২ রানের শক্ত অবস্থানে থেকে দুই বল বাকি থাকতে ১১২ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৩০ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৭ উইকেট। যার চারটিই নেন কারান। ম্যাচের সর্বোচ্চ দুই স্কোরার অবশ্য আফগানিস্তানেরই। ইব্রাহিম জাদরান ৩২ বলে ৩২ ও উসমান গনি ৩০ বলে করেন ৩০ রান। চোট কাটিয়ে ফিরে ইংল্যান্ডের হয়ে ২১ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিয়াম লিভিংস্টোন।