আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিআইআরআই) উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন গ্যালারিতে ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রদর্শনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ডিআইআরআইর ট্রাস্টি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, ডিআইআরআইর ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী, ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকার ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও প্রধান ডা. রশিদ উন নবী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন খান এগ্রো গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দুল হক খান, চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মউদুদুল আলম ও বর্তমান সভাপতি অনুজ কুমার বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআইআরআইর আন্তর্জাতিক ফটো অ্যাওয়ার্ড আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান শোয়েব ফারুকী। অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রাম আধ্যাত্মিক সাধকদের পূণ্যভূমি। চট্টগ্রামের মানুষ ধর্ম পরায়ণ। আগে সুফিজমের চর্চা হতো না, এখন চর্চা হচ্ছে। সত্যিকারের ধর্ম মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
আমরা অনেক সময় আমাদের দায়িত্ব ভুলে যাই। আধ্যাত্মিক সাধকরা আমাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেন। সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের মোট ৫১টি দেশ থেকে আলোকচিত্রীরা অংশগ্রহণ করেছেন। তারা তাদের ছবির মাধ্যমে সুফিজমের নানা নিদর্শন তুলে এনেছেন। তিনি বলেন, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী মানুষের কল্যাণে সপ্তকর্ম পদ্ধতি প্রবর্তন করে গেছেন। সপ্তকর্ম পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষ আত্মশুদ্ধি করতে পারেন। বিশ্বের ৫১টি দেশের ৭২৪ জন আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মোট ২৫৭৮টি ছবি থেকে ২০০টি ছবি বাছাই করা হয় প্রদর্শনীর জন্য।
এর মধ্যে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন আলোকচিত্রীর ১৫১টি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়।প্রতিযোগিতায় ছবি নির্বাচনে জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকার ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও প্রধান ডা. রশিদ উন নবী, ম্যাপ ফটো এজেন্সির আলোকচিত্রী হাসান সাইফুদ্দীন চন্দন, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার আবির আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তুষার, সিনিয়র ফটোগ্রাফার কাজী গোলাম কুদ্দুস হেলাল ও ডিআইআরআইর ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী। ডিআইআরআইর আয়োজনে ও সৃজনশীল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, গ্লোবাল ফটোগ্রাফিক ইউনিয়ন, সিলি সানাত সারাইয়ি ও চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছবি প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত।