মীরসরাইয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকনসহ (৪৬) তিন যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার মুহুরী প্রকল্প এলাকায় বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। মেয়র খোকন ছাড়া গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন অশোক সেন (৪৭), শহিদ খান দুখু ( ৪৪) ও আশরাফুল আলম। মেয়র খোকন, আশোক ও দুখু তিনজন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশরাফ ফেনীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টায় মুহুরী প্রকল্প এলাকার ফেনী নদীর পাড়ে মীরসরাই অংশে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ফেনী নদীর মীরসরাই অংশে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের সঙ্গে বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র খোকনের লোকজন বালু তুলতে গেলে তাদের দুটি বোট আটকে রাখে চেয়ারম্যান রিপনের লোকজন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি সমাধান করার জন্য মেয়র খোকন ঘটনাস্থলে গেলে রিপনের অজ্ঞাত ৮/১০ জন অস্ত্রধারী লোক গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হন খোকনসহ সাথে থাকা আরো ৩ জন। এদিকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মস্তাননগর হাসপাতালে ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মেয়র খোকনের পেটে এবং শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, মেয়র খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমি শুনেছি। আমরা ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিস্তারিত তদন্ত করার চেষ্টা করছি। তবে স্থানীয় সূত্রে জেনেছি মুহুরি নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে ফেনীর চেয়ারম্যান রিপনের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়র খোকনসহ ৩ যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন বলেন, আমি এখানকার ইজারাদার। আমার লোকজন গুলি করার প্রশ্নই ওঠে না। বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকন এখানে বালু তুলতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। তার দায়ভার আমার নয়।
শুক্রবার রাতে এই রিপোর্ট লেখার সময় গুলিবিদ্ধ সকলেই শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।












