বায়োগ্রাফি বা হুবহু গল্প নয়, ইতিহাস থেকে ‘গল্পের রস নিয়ে’ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে উৎসর্গ করে ‘দামাল’ নির্মাণ করার কথা বললেন সিনেমাটির পরিচালক রায়হান রাফি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিটিতে দামাল সিনেমার স্পন্সরশিপ চুক্তি স্বাক্ষর ও পোস্টার উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন তরুণ এ নির্মাতা। খবর বিডিনিউজের। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটির মূল গল্প ফরিদুর রেজা সাগরের। রাফির সঙ্গে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন নাজিম উদ দৌলা। দামাল মুক্তি পাচ্ছে ২৮ অক্টোবর। তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, সিয়াম আহমেদ, নাসির উদ্দিন খান, সাঈদ বাবু, রাশেদ মামুন অপু, সুমিত, শাহনাজ সুমী, লাঙ তারকা অথৈ, সৈয়দ নাজমুস সাকিব, পূজা, বৃষ্টি। রায়হান রাফি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের গল্প আমরা বলি নাই। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের যে গৌরবময় ইতিহাস, ইতিহাস থেকে গল্পটা নিয়ে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমকে উৎসর্গ করে ছবিটা বানিয়েছি। এটা পুরোপুরি স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের গল্প না।
কারো বায়োগ্রফি না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ছবি সুপার ডুপার হিট হতে আমরা দেখি না। দর্শকের হাততালি দেখি না। আমার ইচ্ছা ছিল, একটা ছবি বানাব, যেটা দেখে এই প্রজন্মের কাছে মনে হবে মুক্তিযুদ্ধ একটা হিরো। এই ইতিহাস নিজেই হিরো। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা হিসেবে দামাল ‘একটা ব্যতিক্রমী ছবি’ বলে দাবি করেন রাফি।
সিনেমার ট্রেইলারে দেখানো আলোচিত বাইসাইকেল কিক নিয়ে অভিনেতা শরিফুল রাজ বলেন, রাফি যখন বলল, আমরা কি একটা বাইসাইকেল কিক রাখতে পারি? বিষয়টা আমার কাছে নতুন ছিল। পারব কিনা কনফিউশনে ছিলাম। আমরা তো অনেকদিন ধরে এই জার্নিটার সাথে ছিলাম। তিন-চার মাস প্র্যাকটিস করেছি। শুটিংয়ে আমি আমার কাজটা করেছি। বাকি কাজটা ছিল আমার টিমের। রাফি সবটা দেখভাল করেছে। সিনেমাটোগ্রাফার দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন। দিন শেষে পর্দায় দৃশ্যটা ভালো আসছে। আমি খুশি।
দামালের অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, গত ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা পরাণ এখনো হলে চলছে। হল হাউজফুল, এমন খবর আসছে। এর মধ্যে আরেকটা সিনেমা আসছে। আশা করি দুইটা সিনেমাই হাউজফুল যাবে।
তিনি বলেন, তিন মাস ধরে একটা সিনেমা ভালো চলা অবস্থায় আরেকটা ভালো সিনেমা আসাটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক বড় বিষয়।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ফুটবল খেলা দেখতে যতটা ভালো লাগে, যতটা ম্যাজিক্যাল লাগে, ঠিক ততটাই কঠিন মাঠে গিয়ে সেটা ঘটানো। ফুটবল খেলার কোরিওগ্রাফি করা সম্ভব না। আমরা বাসা থেকে যা ভেবে যেতাম, শুটিং সেটে তার কোনো কিছুই হত না। দিন শেষে আমাদের ফুটবল খেলতে হত। খেলার মাঝেই হয়ত বেটার শট পেয়েছি অথবা পাইনি। আমাদের নির্ভর করতে হয়েছে, ওই দিনে প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের সাপোর্ট করছে কি করছে না তার উপর।
দামাল টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিয়াম বলেন, ব্রিলিয়ান্ট একটা টিম যদি না থাকত, তাহলে দামালের মতো ফুটবল খেলা নিয়ে একটা সিনেমা হত না। সবাই অনেক কষ্ট করেছে। সবার কষ্টের ফলেই আপনাদের সামনে দামালের মত একটা সিনেমা আনতে পেরেছি।