সীতাকুণ্ডের ১৫ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজট

চেকপোস্টে গাড়ি চেকিং

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি সমন্বয় এলাকায় একটি চেকপোস্টে গাড়ি চেকিংয়ের ফলে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল দুইটা পেরিয়ে গেলেও সড়কটি যানজটমুক্ত হয়নি। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় যাতে নেতাকর্মীরা যেতে না পারে সেজন্য বাধা সৃষ্টি করতেই এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিএনপির জনসভায় যাওয়া অনেক গাড়ি আটকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, এটি রুটিন ওয়ার্ক। গাড়ি চেকিংয়ের সময় সামান্য কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।
স্থানীয় চালক ও বাসিন্দারা জানান, সকাল দশটা থেকে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি সমন্বয় এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল আলম। এর ফলে যানজটে পড়ে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। হোসনে আরা বেগম নামে ষাটোর্ধ এক নারী বলেন, ১১টায় মাদামবিবির হাট থেকে ৮ নম্বর মিনি বাসে উঠে দুপুর সোয়া দুইটায় অলংকার মোড়ে পৌঁছাই। আবু সালেহ নামে এক বাস যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, সবাইতো আর বিএনপির সভায় যাচ্ছে না। গাড়ি তল্লাশির নামে সব যাত্রীবাহী গাড়ি কেন আটক করবে?
ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। এতে গাড়ি কিছুটা ধীরগতি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এআইএম তৌহিদুল করিম বলেন, সকালের দিকে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও তা আধ বা এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। এতে জনগণের কোনো ভোগান্তি হওয়ার কথা না।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থলে আসা শুরু করে। আসার পথে পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা নানাভাবে বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করছে বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সাদা পোশাকে ডিবি ও থানা পুলিশ তাদের গাড়ি চেক করার নামে হয়রানি করছে। বেশিরভাগ নেতাকর্মী সমাবেশে যেতে পারেননি।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সড়কে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাওয়ার পথে তাদের বাধা দিচ্ছে। গাড়ি চেক করার নামে জনসভায় যেতে বাধার সৃষ্টি করছে পুলিশ। সীতাকুণ্ড উপজেলা শ্রমিক দল নেতা রবিউল হক অভিযোগ করেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের আসার পথে বাধা দিচ্ছে। যার কারণে সাধারণ জনগণ ও যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। সরকার একদিকে জনসভার অনুমতি দিয়েছে অন্যদিকে প্রশাসন ও দলীয় লোক দিয়ে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে ৫ নেতাকর্মী নিহত ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়খেকো ইয়াসিনকে এবার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব