আন্দোলনের ফল সহসা ঘরে আসবে : খসরু

চট্টগ্রামের নেতারা যা বললেন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামবাসী সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। সারা দেশে আজকে বার্তা যাবে আপনার বিদায়ের পালা এসে গেছে। পদত্যাগ করুন। আগামীকাল বা পরশু নয়। এখনি পদত্যাগ করতে হবে। লক্ষ লক্ষ জনগণের সমাবেশ থেকে চট্টগ্রামবাসী যে রায় দিয়েছে, এরপর একদিনও ক্ষমতায় থাকা হবে অবৈধ। গতকাল বিকেলে নগরের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান
বক্তার বক্তব্যে এ এসব কথা বলেন তিনি। নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকে হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রামের জনগণ আজ দেখিয়ে দিয়েছে। সব সময়ের মত চট্টগ্রামবাসী প্রমাণ করেছে বিএনপির ঘাঁটি এ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের মাটি থেকে যেটা শুরু হয়েছে তার ফল সহসা আমরা ঘরে আনতে পারবো। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা জীবন দেয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। আমরা জীবন দিব, গণতন্ত্র আনব। সরকারের পতন ঘটাব। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। দেশের মানুষ তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।
খসরু বলেন, বিবিন্ন জায়গায় আমাদের বাধা দিয়েছে। পুলিশের কিছু অংশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে বাধা দিয়েছে। হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপরও জনতার ঢল থামাতে পারেনি। তিনি বলেন, আজকের সমাবেশের পর ভোট চুরি করার সাহস করবে না। যারা ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের উচ্ছিস্ট খাওয়ার জন্য ঘুর ঘুর করছে তাদের দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না।
চট্টগ্রামের নেতারা যা বললেন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আজকের জনসমাবেশ থেকে একটাই দাবি, দেশনেত্রীর মুক্তি এবং তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করে স্বসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে খালেদা জিয়ার সরকার চলবে। যারা খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে তাদের তখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক বলেন, সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না।
সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। নগর বিএনপির আহ্বাক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ৬৪ জেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নাই। ডিসি-এসপিরা সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ চট্টগ্রামবাসী যে জবাব দিয়েছে এরপরও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা মানায় না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। প্রত্যেকটা শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব। নিজেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বক্তব্যে হুম্মাম কাদের বলেন, বেশি সময় নেব না। অনেক সিনিয়র নেতা এসেছেন। আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি কোনো বড় নেতা হিসেবে নয়। আজকে এসেছি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হিসেবে। আপনারা সবাই সঙ্গে থাকলে আমাদের পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘যাওয়ার আগে বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই, নারায়ে তাকবির, নারায়ে তাকবির, নারায়ে তাকবির। আমরা যখন আবার এই ময়দানে আসব সরকার গঠন করে আসব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাস্থ্য মন্ত্রীর সফরের পর চট্টগ্রামের দুই ইউএইচএফপিও বদলি
পরবর্তী নিবন্ধবুয়েটের সমীক্ষা প্রতিবেদনের পর সংস্কারের টেন্ডার