হারিকেনের আঘাতে ফ্লোরিডায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১শ’

| বুধবার , ১২ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

হারিকেন ইয়ানের আঘাতে কেবলমাত্র ফ্লোরিডায় সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে একশ’ জন ছাড়িয়ে গেছে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে যাবতকালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার হারিকেন ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে। এতে বহু ঘরবাড়ি, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠাান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফ্লোরিডা মেডিক্যাল এঙামিনার কমিশনার তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে রাজ্যজুড়ে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০২ জনে দাঁড়ানোর কথা নিশ্চিত করে। এদের অধিকাংশ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা।
এরআগে রাজ্যের গভর্নর নর্থ ক্যারোলিনায় আরো পাঁচজনের মৃত্যুর হয়েছে বলে জানান। উপকূলে আঘাত হানার পর ইয়ান ফ্লোরিডার ওপর দিয়ে চলে যায়। কর্মকর্তারা জানান, ইয়ানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ফ্লোরিডার উপকূল অঞ্চলের পুনর্গঠনে তাদের কয়েকমাস সময় লাগতে পারে। এতে ফ্লোরিডার প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। ইয়ান ছিল এ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর অন্যতম। এর আগেও বহুবার চ্যাথাম দ্বীপে আটকা পড়ে অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে।
১৯৮১ সালে ওই দ্বীপে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়ে। এছাড়া মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম তাসমানিয়ায় প্রায় ২শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। যদিও এসময় ৪৪টিকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল যে, আটকা পড়া অর্ধেক তিমিকে হয়তো বাঁচানো যাবে। কিন্তু মাত্র ৩৫টি তিমি শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে প্রচুর পানি ঢালতে থাকেন স্থানীয় লোকজন। পাইলট তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলগত ভাবে থাকার কারণে বেশ সুপরিচিত। একটি বড় দলে তারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৭.৪৮ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধপুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট