নগরীর ডিজিটাল বিদ্যাপীঠ খ্যাত বেসরকারী কলেজ সিএসবিএইচ (কলেজ অব সায়েন্স বিজিনেস এন্ড হিউমেনিটিজ) ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর সুবীর দাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মেহরাব মাসুক।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ণ সিলেবাস সম্পন্ন করে এইচএসসি পরীক্ষার দ্বারপ্রান্তে সিএসবিএইচ এর শিক্ষার্থীরা। তাই সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। একাধারে রেল, মহাসড়কের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাইওয়ে সরাসরি যুক্ত হতে যাচ্ছে চীন, ভারত, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও নেপালের সাথে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাতারবাড়ি প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর। যার গুরুত্ব হবে সিংগাপুর বন্দরের চাইতেও বেশি। এই ট্রান্স এশিয়া রেলওয়ে কানেক্টিভিটি ও ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট স্থাপনের ফলে আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে জ্যামিতিক হারে! আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ২০,০০০ টাকারও উপরে। তাই পরিবর্তিত এই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সফল করতে প্রয়োজন দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী জনসম্পদ। আর এই লক্ষ্যে এখন থেকেই তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে নিজকে যোগ্য রুপে গড়ে তোলার।’
প্রধান অতিথি বলেন, ‘সিএসবিএইচ আদর্শ ও দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে। আশা করি নবীনরা এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্য করে তুলবে।’
অধ্যক্ষ সুবীর দাশ বলেন,‘আজ নবীন তরুণদের চোখে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। একনিষ্ঠ পরিশ্রম ও সাধনাতেই কেবল এই স্বপ্ন বাস্তবতার মুখ দেখবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বপ্রতিযোগিতায় নিজকে সক্ষম প্রমাণ করতে লেখাপড়ায় মনেযোগী হয়ে জ্ঞান অর্জনে ব্রতী হতে হবে।’
কলেজ সংলগ্ন এসএসবিএইচ স্কুলের অধ্যক্ষ শেখ মো: আব্দুস সেলিম আদর্শ জীবন গঠনে নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এসএসবিএইচ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, ‘এই শিক্ষাঙ্গন থেকে তোমরা যারা বিদায় নিচ্ছ তারা ভবিষৎ উচ্চশিক্ষাঙ্গনে এমনভাবে আচরণ করবে যাতে এই কলেজের সুনাম অক্ষুন্ন থাকে। মহামনীষীদের জীবনী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের আলোকে জীবন গঠন করতে হবে।’
নবীনদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের শৃংখলাবিধি মেনে লেখাপড়ার প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। আলোচনা শেষে কলেজ ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ব্যান্ড-শো উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে নতুন-পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।