লোহাগাড়ার চরম্বায় জয়শ্রী দে বৈশাখী (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জয়শ্রী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মকুন্ডু পাড়ার সুরঞ্জন গুপ্তের স্ত্রী ও বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম মাস্টার পাড়ার বিকাশ রঞ্জন দে’র কন্যা।
জানা যায়, প্রায় ১৪ মাস পূর্বে জয়শ্রী দে বৈশাখীর সাথে সুরঞ্জন গুপ্তের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পুত্রবধূর সাথে শ্বাশুড়ির মনোমালিন্য দেখা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাশুড়ির মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পুত্রবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মাহত্যা করেছে।
নিহতের নিকটাত্মীয় ও স্থানীয় প্রদীপ মিত্র জানায়, ভোর ৫টার দিকে নিহতের স্বামী ও মা তার বাড়িতে গিয়ে জানায় জয়শ্রী মারা গেছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে খাটের উপর জয়শ্রীর মৃতদেহ দেখতে পান। পরে জয়শ্রীর বাবার বাড়িতে খবর দেয়া হয়।
নিহতের পিতা বিকাশ রঞ্জন দে জানান, বুধবার রাতেও শ্বাশুড়ির সাথে ঝগড়া হওয়ার বিষয়টি মেয়ে তার মাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। সকালে এসে এ ব্যাপারে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে আলোচনা করার কথা ছিল। এর আগেও তার মেয়ের সাথে শ্বাশুড়ি বিভিন্ন কারণে ঝগড়া করতো ও মানসিক যন্ত্রণা দিতো।
নিহতের স্বামী সুরঞ্জন গুপ্ত জানান, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কলহ ছিল না। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে যান। ভোরে হঠাৎ ঘুম ভাঙলে স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।