চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভা পেয়েছে দুই কোটি ৬৬ লাখ টাকা

উন্নয়ন সহায়তা খাত

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

উন্নয়ন সহায়তা খাতের সাধারণ উপ-খাতে চট্টগ্রামসহ দেশের ৩০৩ পৌরসভার জন্য প্রথম কিস্তির ৪১ কোটি টাকা ২৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ছাড় করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভা পেয়েছে দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা ৭৯ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে উন্নয়ন সহায়তা খাতে দেশের পৌরসভাগুলোর জন্য চলতি অর্থ বছরে (২০২২-২০২৩) বরাদ্দ আছে ৪০০ কোটি টাকা। যার ২৩৯ কোটি টাকা রক্ষিত আছে সাধারণ উপ-খাতে। তবে এর মধ্যেও ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে সাধারণ উপ-খাতের জন্য এবার বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ পৌরসভা ‘ক’, ৫ পৌরসভা ‘খ’ এবং দুইটি পৌরসভা ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত। ‘ক’ শ্রেণির পৌসভাগুলো হচ্ছে হচ্ছে- পটিয়া, বারইয়ারহাট, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, রাউজান। ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভাগুলো হচ্ছে- মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা দুটি হচ্ছে নাজিরহাট ও দোহাজারী।
জানা গেছে, সাধারণ উপ-খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম কিস্তি ছাড়করণে গত মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ফারজানা মান্নান একই বিভাগের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরাবর সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন পত্র পাঠান। এতে ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা পালনের কথা বলা হয়।ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে পটিয়া, বারইয়ারহাট, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, রাউজান ১৪ লাখ টাকা করে পেয়েছে এক কোটি ১২ লাখ টাকা। মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালী পৌরসভা ১৩ লাখ টাকা করে ৬৫ লাখ টাকা পেয়েছে। এছাড়া নাজিরহাট ও দোহাজারী পৌরসভা ১২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা করে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র অথবা প্রশাসকদের জানান, অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে জারিকৃত পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। ছাড়কৃত অর্থ কোনো অবস্থাতেই পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) এর ঋণের কিস্তিও এ অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা যাবে না। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) অনুরসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। পৌর এলাকায় স্যানিটেশন সুবিধা শতভাগ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশে বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ শতাংশ স্যানিটেশন প্রকল্প/স্কিম বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। পৌরসভার মেয়র অথবা প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী অথবা সচিব মঞ্জুরিকৃত আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায়
পরবর্তী নিবন্ধএই সরকার এখন দেশের জন্য বোঝা : ফখরুল