আজ শনিবার (১ অক্টোবর) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে নতুন করে জেলায় ৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী এবং ৩১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার জেলায় ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ২৫ জনের কোভিড আক্রান্তের খবর এসেছিল।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, “করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গত দুই সপ্তাহ ধরেই একটু একটু করে বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের উপরে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরিধানে এখন শিথিলতা দেখা যাচ্ছে, সেটা করা যাবে না। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিশেষ করে ভিড়ে বা লোক সমাগমের স্থানে গেলে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত হলেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে আশঙ্কা নেই সিভিল সার্জনের।
তিনি বলেন, “ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন সেই সংখ্যাটা আমরা পাই। সবাই যে হাসপাতালে আসেন তাও না। তবে সেপ্টেম্বর মাস শেষ। বৃষ্টি থেমে গেলে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ কমে আসবে।”
অন্যদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েকদিনও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বন্দর নগরীতে ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বলছে, শনিবার জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত আগস্ট মাসে জেলায় কোভিড শনাক্তের হার শূন্যের কোঠায় নেমেছিল। ১৮ অগাস্টের প্রতিবেদনে আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়নি।
মহামারীর শুরু থেকে জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৫ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৩১ জন নগরীর বাসিন্দা। বাকি ৩৪ হাজার ৯৫৪ জন উপজেলাগুলোর বাসিন্দা।
শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় মোট ১৩৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে ৩৭ জন নগরীর বাসিন্দা।
অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নগরীতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন শিশু ও একজন যুবক।
চলতি বছর শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৬১৮ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে যায়। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।