টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি নিয়ে এবার নারী এশিয়া কাপ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। একে তো ঘরের মাঠে খেলা, তার ওপর টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা বেশি থাকবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের ওপর। আজ শনিবার সকাল ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সাত দলের অংশগ্রহণে এশিয়া কাপের এবারের আসরের প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দল একে অপরের সাথে খেলবে। প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলের ম্যাচ হবে ছয়টি। এবারের এশিয়া কাপে আর প্রথাগত ‘ভালো খেলার লক্ষ্য’ না নিয়ে সরাসরি শিরোপা ধরে রাখার মিশনের কথাই জানিয়েছেন নারী দলের অধিনায়ক জ্যোতি। তিনি বলেন এরই মধ্যে ভালো খেলার ধারাবাহিকতায় রয়েছে তার দল। সেটি ধরে রেখে আবার চ্যাম্পিয়ন হতেই নামবে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার সিলেটের মাঠে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ভালো খেলার সময় কিন্তু শেষ। যেহেতু শিরোপা আমাদের ছিল, সুতরাং চেষ্টা করবো এটি যেন আমাদেরই থাকে। ভালো ক্রিকেট কিন্তু আমরা এরই মধ্যে খেলছি। এমন তো না যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি না। ভালো ক্রিকেট খেললে শিরোপা আমাদের ঘরে আসবে। স্বাগতিক হওয়ায় এশিয়া কাপে চ্যালেঞ্জ সেভাবে মনে করছে না বাংলাদেশ অধিনায়ক । প্রতিটা ম্যাচ হিসেব করে এগোনোর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলপতি। তিনি বলেন, নিজের ঘরে টুর্নামেন্ট হলেও ওভাবে চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা। অন্য দলের শক্তিও আমরা দেখছি না। আমরা আমাদের ক্রিকেটটা খেলতে চাই মাঠে। তবে দলের সবাই মিলে অবদান রেখে জেতার চ্যালেঞ্জের কথা ভোলেননি টাইগ্রেস অধিনায়ক। তিনি বলেন এখানে চ্যালেঞ্জ বলতে এটা থাকবে যে আমরা সবসময়ই বলি আমরা যে ম্যাচগুলো জিতি, সেখানে পুরো দলের অবদান থাকে। ব্যক্তিগতভাবে একজন খেলোয়াড় অনেক বেশি ভাল খেলার পর কোন ম্যাচ জিতেছি তা কিন্তু নয়। দেখা যাচ্ছে যে ম্যাচগুলো আমরা জিতেছি সেখানে সবার ছোট ছোট অবদান থাকে । সুতরাং চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সেটাই থাকবে যে আমরা সবাই মিলে ম্যাচে পারফর্ম করতে পারবো। আর সেটা করতে পারাটাই থাকবে চ্যালেঞ্জ। সবাই মিলে একসাথে অবদান রাখতে পারাই থাকবে চ্যালেঞ্জ।
কাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মনে করছেন তেমন প্রশ্নের জবাবে জ্যোতি বলেন, সবগুলো দলই কিন্তু উন্নতি করেছে। আমরাও উন্নতি করেছি। সবদিক বিবেচনা করে বলা যায় অবশ্যই এখন প্রত্যেকটা দলের শক্তিমত্তা অনেক বেড়ে গেছে। আর আমরাও দিন দিন উন্নতি করছি। সব মিলিয়ে আমরা আমাদের ক্রিকেটটা খেলতে চাই। আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।