বিশ্বকাপ কিংবা যেকোন বৈশ্বিক আসরের আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন এবং সংবাদ সম্মেলন যে একটা রীতি। কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সে রীতি মানতে পারছেনা বাংলাদেশ দল। গতকালই নিউজিল্যান্ড রওয়ানা হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে চলে যাবে বিশ্বকাপের দেশ অস্ট্রেলিয়ায়। কাজেই দেশে একসাথে আর আসা হবেনা ক্রিকেটারদের। তার উপর দলের অধিনায়ক নেই দেশে। তিনি ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগেই এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এ কারণে তিনি খেলেননি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এবার সাকিবের অনুপস্থিতির কারণে হলো না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনও।
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গতকাল শুক্রবার রাতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল ২ অক্টোবর সকালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে পৌছার কথা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি এড়াতে একদিন বিশ্রাম পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর ৪ অক্টোবর থেকে অনুশীলন শুরু। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ২ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ১৪ অক্টোবর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালের একদিন পর, অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে আর দেশে ফেরা হচ্ছে না টাইগারদের। গতকাল বাংলাদেশ দল দেশ ছেড়ে গেল অনেকটাই নীরবে।
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে রীতি অনুযায়ী দলীয় ফটোসেশন অনুষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনও করা হয় অধিনায়ককে নিয়ে। এবার সেসবের কিছুই হলো না। কারণ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে আছেন। সেখান থেকেই তিনি নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। গতকাল বাংলাদেশ দল যে নিউজিল্যান্ড যাত্রা করেছে তা মূলত বিশ্বকাপ যাত্রাই। কিন্তু যাওয়ার আগে টাইগার অধিনায়কের কাছ থেকে বিশ্বকাপের প্রত্যাশার বিষয়টা জানা গেলনা। এখন হয়তো বিসিবি প্রেরিত সংবাদের উপরই নির্ভর করে থাকতে হবে। নতুবা আইসিসি প্রেরিত খবর থেকেই জানা যাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের লক্ষ্য।