আরব আমিরাতের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট মিরাজ

এশিয়া কাপ শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে মাঝের সময়ে কোনো খেলা ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। মাঝের সময়কে কাজে লাগাতে খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজম্যান্টের চাওয়ায় আরব আমিরাতে পাঁচদিনের বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই ক্যাম্পে স্বাগতিক আরব আমিরাত দলের সঙ্গে দুই ম্যাচের ফ্রেন্ডশিপ সিরিজও খেলেছে টাইগাররা। যার প্রথমটি ৭ রানে ও পরেরটি ৩২ রানে জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। এ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো কিছুই তেমন প্রত্যাশা মাফিক করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে মাত্র একটি। প্রথম ম্যাচে ৫৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ হোসেন । পরের ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ বলে ৪৬ রান। বল হাতে মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম নেন তিনটি করে উইকেট। পরের ম্যাচে মোসাদ্দেক সৈকতের শিকার দুই উইকেট।এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৫৮ রানের পুঁজি নিয়ে ৭ রানে জিতলেও সার্বিক পারফরম্যান্সের দৈন্যদশা ফুটে ওঠে প্রকটভাবে। পরের ম্যাচে ভালো অবস্থানে থেকেও ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে প্রস্তুতির দিকটিতেই বেশি জোর দিচ্ছেন দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মিরাজ। তিনি বলেন এ সাতদিন দেশে থাকলে প্রস্তুতি অতো ভালো হতো না। আমিরাতে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা ও দুইটি ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস দলের জন্য ভালো হবে মনে করেন মিরাজ। মঙ্গলবার রাতে সিরিজ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে মিরাজ বলেছেন, আমরা যদি এই সাতদিন দেশে কাটাতাম হয়তো আমাদের প্রস্তুতি অতো ভালো হতো না। আমরা দুবাই এসেছি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। অবশ্যই সিরিজ খেলাটা এবং জেতাটা উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপের আগে। তিনি আরও বলেন প্রস্তুতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যেখানে অনুশীলন করেছি, সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি তা অনেক ভালো ছিল। আমরা যে ম্যাচ দুইটা খেলেছি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সাতটা দিন আমাদের খেলোয়াড়রা ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।