চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্প্রতি অল্প সময়ের ব্যবধানে ছাত্রলীগের কিছু উপগ্রুপ পর পর কয়েকদিন মূল ফটকে তালা দেওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা যখন-তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও পরিবহন দপ্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউটের পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস, পরীক্ষা ও সেমিনার আয়োজনে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া একাডেমিক ও দাপ্তরিক কাজে ক্যাম্পাসে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাপ্রার্থীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করার লক্ষে গৃহিত পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী কিংবা বহিরাগত কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, প্রধান ফটকে আটকে রাখার বিষয়টি ইদানিং বেশি হচ্ছে। ফলে সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না। আমরা সেজন্য এখন থেকে এসব কাজে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিতকরণ, যোগ্যদের মূল্যায়ন, বিবাহিত এবং নিষ্কৃয়দের বাদ দেওয়ার দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দেয় একাংশের নেতাকর্মীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান প্রায় ১৪টি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এর আগেও একাধিকবার প্রধান ফটকে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক বিভিন্ন উপগ্রুপ।