অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে পানির ঢল, ভোগান্তি

রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই পানির ঢল নামে। পাশের পাহাড় থেকে মাটি নেমে কাদার সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহন আটকে গিয়ে দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা। বছরের পর বছর সড়কের এই পরিস্থিতি চলে এলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। এতে ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে রাতব্যাপী বৃষ্টি হয়। এতে গোডাউন কাদের নগর থেকে নোয়াগাও এলাকা পর্যন্ত সড়কে পানির ঢল নামে। আবার গোডাউনের আজিজ নগর এলাকায় দুই পাশের পাহাড় থেকে মাটি নেমে সড়কে অন্তত এক ফুট পুরুত্বের কাদার আস্তরণ পড়েছে। এতে বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা আটকে গিয়ে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় একটি গাড়ি সড়িয়ে নিতেই আটকে যায় আরেকটি গাড়ি। ফলে সামান্য ১০ মিনিটের পথটি পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রী ও চালকদের।
নুরুল আজিম মনু নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে কাপ্তাই সড়কের জলাবদ্ধতা শুধু গোডাউন এলাকাতেই নয়, সড়কের তাপবিদ্যুৎ গেইট থেকে সত্যপীর মাজার, সৌদিয়া প্রজেক্ট এলাকা, গোচরা, নোয়াগাও, ইছাখালী, পৌরসভা কার্যালয় থেকে পূর্বদিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্পটে এই সমস্যা রয়েছে। তবে গোডাউন এলাকায় এই জলাবদ্ধতার সমস্যাটি খুবই প্রকট।
গোডাউন এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবু জাফর বলেন, কাপ্তাই সড়কের গোডাউন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানির ঢল নামে। পাশের পাহাড় থেকে এই পানির ঢলের সাথে নেমে আসে কাদা। ড্রেনেজ সমস্যার কারণে এই সমস্যা চলে আসছে। দীর্ঘদিনেও এই সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
গাজী মোহাম্মদ ইদ্রিচ নামে এক যাত্রী বলেন, কাপ্তাই সড়ক যেনো ভোগান্তির আরেক নাম। এই সড়কে প্রতি ধাপে ধাপে দুর্ভোগ নিত্য সঙ্গী। বৃষ্টি হলে গোডাউন এলাকা দিয়ে যাওয়াই যায় না। বৃষ্টির সময় সড়কের এই অংশে যাতায়াতের সময় পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ সময় পানির ছিটা পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, আবার গাড়ি বিকল হয়ে সড়কে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওয়ার্ক সুপারভাইজার রাসেল দেওয়ান বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কের গোডাউনসহ কিছু কিছু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে কিছুক্ষণ পর আবার চলেও যায়। এ কারণে সাময়িক জনদুর্ভোগ হয়। সড়কে কাদার আস্তরণ পড়লেও আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তা পরিস্কার করে দেয়া হয়। তবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ঊর্ধতন মহলকে জানানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিকড় ফাউন্ডেশন বন্দর থানা শাখার কর্র্মীসভা
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে গলায় ওড়না পেচিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা