দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত প্রকল্পে প্রতিটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের দাম পড়বে ৩ লাখ টাকার মতো। চার বছর আগে ইভিএম কেনার সময় প্রতিটির জন্য ব্যয় হয়েছিল দুই লাখ টাকার মতো; তার তুলনায় ব্যয় এবার ১ লাখ টাকা বাড়ছে। ইভিএমের অনেক যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয় বলে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব এক্ষেত্রেও পড়ছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৮৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে ইসি, যে অর্থের দুই-তৃতীয়াংশই ব্যয় হবে মেশিন কেনায়। গতকাল ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএমের ব্যবহার বৃদ্ধি ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবটি (ডিপিপি) কমিশন সভায় অনুমোদিত হয়। এটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এরপর প্রকল্পটি যাবে একনেকে। খবর বিডিনিউজের।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বর্তমানে ইসির কাছে যে ইভিএম আছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোট করার সম্ভব। তাই নতুন ইভিএম কিনতে হচ্ছে ইসিকে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এছাড়া ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ, জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যয় রাখা হয়েছে এখানে।
প্রকল্প প্রস্তাবে দুই লাখ ইভিএমের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেখা যায়। সেই হিসাবে প্রতিটির জন্য ব্যয় ৩ লাখ টাকার বেশি হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী ইভিএম সংক্রান্ত বর্তমান প্রকল্প ২০২৩ সালের জুনে শেষ হচ্ছে। ২০১৮ সালে নেওয়া ওই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সেবার দেড় লাখ ইভিএমে কেনা হয়।