রুশ বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ইউক্রেনের সেনারা বেশ কিছু এলাকা পুনঃদখল করলেও এতে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও ইউক্রেন সরকার রুশ বাহিনীর পিছু হটাকে তাদের বিজয় বলে বর্ণনা করছে। গত ছয় দিনে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী উত্তরপূর্বের খারকিভ অঞ্চলের আট হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা পুনঃদখল করেছে। যা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রকাশ পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারই প্রথম মুখ খোলেন পুতিন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, তিনি ইউক্রেন অভিযান নিয়ে একদমই তাড়াহুড়ো করছেন না। আর ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনীর অভিযান পরিকল্পনা মাফিকই চলছে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে সম্মেলন শেষে শুক্রবার তিনি নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পুতিন এও মনে করিয়ে দেন, ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো রাশিয়া তাদের পূর্ণ শক্তি মোতায়েন করেনি। দনবাসে আমাদের অভিযান বন্ধ হচ্ছে না। তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে…যদিও তাদের অগ্রগতি খুব বেশি দ্রুত নয়, কিন্তু তারা ধীরে ধীরে আরো বেশি অঞ্চলের দখল নিচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মূললক্ষ্য ছিল দেশটির পূবের্র ভারি শিল্পাঞ্চল দনবাসের দখল নেওয়া। রাশিয়ার যুক্তি, তারা ওই অঞ্চলের রুশ ভাষী জনগোষ্ঠীকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনে অভিযান চালিয়েছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন যুদ্ধে পর থেকে দনবাসের কিছু অংশ রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে রয়েছে। তবে খারকিভ দনবাস অঞ্চলের অংশ নয়। খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণ নিয়েও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পুতিন।
তিনি বলেছেন, যদি ইউক্রেনের আক্রমণ অব্যাহত থাকে তবে রাশিয়া ‘আরো গুরুতর’ প্রতিক্রিয়া জানাবে। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, রাশিয়ার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধ করছে না… শুধুমাত্র পেশাদার সেনাবাহিনী যুদ্ধ করছে। রাশিয়া এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। তারা এখনো তাদের আগ্রাসণকে বিশেষ সামরিক অভিযান বলছে। গত কয়েক দিনে কয়েকটি এলাকায় রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
যা নিয়ে খানিকটা উদ্বিগ্ন রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাই আরো সেনা জড়ো করার আহ্বান জানিয়েছেন। সমপ্রতি ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাওয়ার মত যোদ্ধা পেতে রাশিয়াকে বেগ পেতে হচ্ছে।