“সরকার প্রধান দু’কলসি পানি এনেছেন, এটাই বড় অর্জন”

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে অলি আহমদ

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, “সরকার প্রধান দু’কলসি পানি এনেছেন, এটাই বড় অর্জন।”

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ও এ ব্যাপারে তার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।

গতকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন কর্নেল অলি। সেখানেই তিনি এ মন্তব্য করেন।

বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে এলডিপি।

এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি কিছু সময় বেগম জিয়াকে গালি দিয়েছেন। অন্য সময় অন্য কথা বলে পাশ কাটিয়ে গেছেন। দুই কলসি পানি নিয়ে এসেছেন এটাই বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় অর্জন। যেই আশা নিয়ে ভারত গিয়েছিলেন সেই আশা প্রতিফলিত হয়নি। আজকে মিথ্যা কথা বলা হলো নিত্যদিনের ঘটনা।”

অলি আহমদ বলেন, “২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতে গিয়ে সুজাতা সিংকে হায়ার করে নিয়ে এসেছিলেন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হায়ার করে নিয়ে আসেন। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছিল আওয়ামী লীগকে তারা সরকারে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। এখন কিন্তু সেই অবস্থা নাই। এখন ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।”

নির্বাচন কমিশনকে চোরের বাক্স মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ভোট চুরি করার জন্য এটা একটা উত্তম পন্থা। এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কখনো কেয়ামত পর্যন্ত ৫০টির বেশি সিট পাবে না। আওয়ামী লীগ জন্ম হওয়ার পর থেকে তারা কখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় নাই।”

কর্নেল অলি আরও বলেন, “যেকোনো সময় মানুষের রাজনীতি, সামাজিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, অবাধে চলাফেরা ও সাংবাদিকদের মত প্রকাশের অধিকার ছিল। ২০০৯ সালের পর থেকে ক্রমান্বয়ে সরকার সব অধিকার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসে। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের সংসদে বসে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কোনো জায়গায় না বসেও বাকশাল কায়েম করেছেন। আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না। আর বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের কোথাও ঘরোয়া মিটিং করতে পারবে না। প্রেসক্লাব ছাড়া অন্য কোথাও মিটিং করতে গেলে পুলিশের অনুমতি লাগবে। অর্থাৎ পুলিশ যেভাবে চলে বাংলাদেশকে সেভাবে চালাতে হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে লন্ডনের পথে প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ