আজারবাইজানের সঙ্গে নতুন করে বড় ধরনের সীমান্ত লড়াইয়ে আর্মেনিয়া তাদের অন্তত ৪৯ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে আজারবাইজান তাদের সেনা হতাহতের কোনও সংখ্যা জানায়নি। সংঘর্ষের জন্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে দায়ী করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ওদিকে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য সহায়তা করতে রাজি রাশিয়া। আর্মেনিয়া বলছে, আজারবাইজান সীমান্তের কাছে জেরমুক, গরিস, কাপানসহ কয়েকটি শহরে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে গোলাবর্ষণ হয়েছে। আজারবাইজানের এই বড় ধরনের উসকানির জবাব দিয়েছে আর্মেনীয় সেনারা। হামলার জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, নাগোর্নো-কারাবাখের মর্যাদা নিয়ে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় হামলা চালানো হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, সংঘর্ষের তীব্রতা কমেছে, তবে একটি অথবা দুটি ফ্রন্টে আজারবাইজান থেকে হামলা এখনও চলছে। ওদিকে, আজারবাইজান পাল্টা দোষারোপ করে বলছে, আর্মেনিয়াই আজারবাইজানে আক্রমণ চালিয়েছে। আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে সীমান্তে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো এবং অস্ত্রশস্ত্র নেওয়ার অভিযোগ করে আজারবাইজান বলেছে, তাদের সামরিক অবস্থানে আর্মেনিয়া হামলা চালায়। আজারবাইজানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ামাত্র ভেঙে গেছে।
অবিলম্বে সামরিক সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অনেক আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, সংঘাতের কোনও সামরিক সমাধান নেই। আর্মেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে থাকে রাশিয়া। মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের আলোচনা হয়েছে। তারা আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে। ওদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কেভুসোগলু আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বেরামোভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং আর্মেনিয়াকে উস্কানি দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।