চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্ববরণ তা কখনো আমাদের কাম্য নয়। ওভার টেকিং, ওভার লোড ও ওভার স্পিড সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রাফিক সাইন জেনে আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
গত সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর বিআরটিসি বাস স্টেশন সংলগ্ন আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক শৃঙ্খলা বিষয়ক বাস চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হাইওয়ের তুলনায় শহরে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হলেও পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপারদের দায়ী করলে হবে না। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।
সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রইছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী, আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিআই (সদরঘাট) মাবিয়ান মিয়া, টিআই (কোতোয়ালী) জিয়াউল হাসান ও সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত। শতাধিক বাস চালক প্রাশক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।