অপূর্ব এক অনুভূতি ছিল সেদিনের প্রথম প্রকাশিত আজাদী পত্রিকায় আমার লেখা স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু কবিতাটিকে ঘিরে। সেদিনই আমার প্রাণে যেন নতুন একটা স্পন্দন সৃষ্টি হয়। নিজেকে লেখক হিসেবে দাবি করার দুঃসাহস আমার কখনোই হয়নি। তবে সাহিত্যকে ভালোবেসে আমার পথ চলা শুরু। আমার ছোট্ট মনের অভিব্যক্তির স্থান করে দিয়েছে আজাদী পত্রিকার গুণীজন, সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গগণ। যে আজাদীর প্রথম পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আর তা ধীরে ধীরে তেষট্টি বছরে ধাবিত হয়েছে। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস টুকটাক ছিল তবে যখন দেখি সাহিত্য পাতায় চেনা অচেনা হাজার মুখের চমৎকার লিখনি তখন একবার হলেও আজাদী পত্রিকায় আমি চোখ রাখি।
মূলত আমার লেখার প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদীতেই শুরু। যখন দেখি আমার লেখা ও ছবি আজাদীর পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। তখন আমার মন আনন্দে নেচে ওঠে। আমার কলমে শক্তি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায় যা আমাকে লিখতে অধিক সহযোগিতা করে। এই পত্রিকা শুধু চট্টগ্রামে নয়, বিশ্বের আনাচে কানাচে এই পত্রিকার সর্বোচ্চ মান বাড়ুক সেই প্রত্যাশা আমার। গণমানুষের নির্ভরতার প্রতীক দৈনিক আজাদী। সংবাদপত্র জগতে জনপ্রিয়তা ও পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে আজকের এই দৈনিক। তাই প্রাণ খুলে বলতে চাই -‘চলো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’। ফিরে আসি দৈনিক আজাদীতে। অফুরন্ত ভালোবাসা দৈনিক আজাদীর পরিবারের প্রতি।