চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগ কমিটি থেকে বাদ পড়া কর্মীদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এবার আন্দোলনকে ঘিরে ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়ন ও কমিটি পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে তারা। এতে অংশগ্রহণ করে চবি ছাত্রলীগের ৬টি উপগ্রুপ এবং সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী গ্রুপগুলো হলো ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা। এর আগে গত মঙ্গলবার তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তাদের তিনটি দাবি হলো, পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রেড সিগনাল গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ৩১ জুলাই রাতে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন ঘোষিত কমিটি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মন জয় করতে পারেনি। উল্টো নিষ্ক্রিয় ও জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এর প্রতিবাদে ৩দফা দাবিতে আমরা নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছি এবং সুশৃঙ্খল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তবে দাবি আদায় না হলে এর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।