সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৬

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত প্রায় ১০ জনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে তা শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সংঘর্ষের নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন। বিবাদমান পক্ষ দুটি হলো শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের নেতৃত্বাধীন উপ-গ্রুপ সিএফসি ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর নেতৃত্বাধীন সিঙটি নাইন।
জানা যায়, গতকাল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে ছাত্রলীগের দুই কর্মী কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ সিএফসির কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মির্জা সফল প্রধান গুরুতর জখম হন। তাকে চবি মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহ আমানত হলে সিএফসির নেতাকর্মীরা ও শাহজালাল হলে সিঙটি নাইনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে সিএফসির ৫ জন ও সিঙটি নাইনের ২ জন আহত হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পর সিএফসির কর্মী শেখ রাসেলকে মারধর করেন সিঙটি নাইনের কর্মীরা। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক। তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সিঙটি নাইন গ্রুপের সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রুপের একজনকে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপের সময় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, আমরা অন্তত ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন নাছিরকে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া রাত দশটার দিকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসএসসি পরীক্ষা শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধভালোবাসায় সিক্ত আজাদী