১৯৯৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে জামাত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল হক বকুলের বিচার কার্যক্রম তরান্বিত করতে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। বকুল হত্যার ২৫ বছর উপলক্ষে গতকাল শনিবার নগরীর কাজীর দেউড়িতে একটি মিলনায়তেন স্মরণ সভায় চট্টগ্রামের আইনজীবী নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন। বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে সভায় ঘোষণা দেন।
শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূইয়া দুলাল, কাজী দিলজব কবির রিপন, ড. উজ্জল কুমার দেব, শহীদ বকুলের ছোট ভাই আরমানুল হক, কৃষ্ণ গোপাল পাল, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাদের, শাহজাহান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুণ লুবণা, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতারুল আলম, চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আমান উল্লাহ ও চবি শাহাজালাল হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
হুমায়ুন করিম হেলালের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাহাত খান রাচি ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এমন নির্মম, পৈশাচিক ও আলোচিত হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া অত্যন্ত কষ্টের ও বেদনার। বকুলের বৃদ্ধ বাবা-মা, চার ভাই ও দু’বোনের সংসারের সবাই এখনো প্রতীক্ষায় আছেন নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখবে বলে। এ সময় অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বকুল হত্যা মামলা নিয়ে কাজ শুরু করবো।
এর আগে বকুলের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার চবি রেল স্টেশন মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপর মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় রেলস্টেশনের পাশে প্রাক্তন মোজাম্মেল কটেজের সামনে যেখানে বকুলকে খুন করা হয়েছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।