গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারের ক্ষত মেটাতে পেরেছে শ্রীলংকা। গতকাল শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের ম্যাচে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।
ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানরা। তিনি যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৩৭ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ। লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা ও চার। ইনিংসের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। তবে পরের ওভারে মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা। এরপর ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। ২০ বছর বয়সী এই আফগান ওপেনার সুপার ফোর পর্বেও শ্রীলংকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। মাঠে রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গুরবাজকে। ৪৫ বলে গড়া তার ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার। ১৭ ওভারে দেড়শ ছোঁয় আফগানিস্তান। ১৮তম ওভারে ৩৮ বলে ৪০ করে মধুশঙ্কার শিকার হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের একটি করে চার-ছক্কায় ওভারে ঠিকই ১৩ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান পায়নি আফগানরা। ১৯তম ওভারে থিকসানা আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে (১) ফিরতি ক্যাচ বানান, রানআউট হন নাজিবুল্লাহ (১০ বলে ১৭)। ওই ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারে আফগানিস্তান। ২০তম ওভারেও প্রথম তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি রশিদ খান। আসিথা ফার্নান্ডোর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে শেষ বলে দুই নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। লংকান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দিলশান মধুশঙ্কা। তবে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান।
অন্যদিকে শুরুতে কিছুটা ধীরস্থিরভাবে খেললেও সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলে নেন শ্রীলংকার ব্যাটাররা। ১৯ বলে ৩৭ রান করে কুশল মেন্ডিস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। শ্রীলংকার রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন গুনাতিলাকা ও ভানুকা রাজাপক্ষে। ২০ বলে ৩৩ রান করে গুনাতিলাকা ও ১৪ বলে ৩১ রান করেন ভানুকা। ৫ বল আগেই সহজ জয় পায় শ্রীলংকা।