মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে নানা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এ পর্যন্ত ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছে জান্তা শাসিত আদালত। গতকাল সর্বশেষ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি এবং আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাজার রায় হয়। এর আগেও কয়েকটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সু চির কারাদণ্ড হয়েছে। তবে তিনি সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। তখন থেকেই বন্দি আছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি। মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোয় সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং ঘুষ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়েছে ৭৬ বছর বয়সী এ নেত্রীর।