পটিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (আইসিটি) মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ারামূলে গত বুধবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামিদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তাদের পটিয়া জুড়িশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হিলোচিয়া ঠান্ডা মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র নাজিম উদ্দিন বাবুল ও একই ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনাস্থ খাঁন বাড়ির বাসিন্দা মৃত আবদুর সমদের পুত্র জুয়েল খাঁন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় আরো একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আইসিটি আইনের ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবদুল মালেকের পুত্র মোহাম্মদ আরমান, তার ভাই মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আহমদ নবীর পুত্র নাজিম উদ্দিন মনির, আবদুল মালেকের পুত্র মোহাম্মদ রাজীব, মৃত ফররুখ আহমদের পুত্র রোহেল খাঁন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ মে এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা মসজিদের উন্নয়নের জন্য পে-অর্ডার মূলে বিশ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। সে টাকায় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছারের নেতৃত্বে উন্নয়ন করা হয়। উন্নয়ন কাজকে কেন্দ্র করে মামলার প্রধান আসামি আবদুল মালেকের পুত্র মোহাম্মদ আরমান মসজিদের সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে অন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। মামলার ২ আসামি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মামলার বাদিকে প্রকাশ্যে মারধরের হুমকি প্রদানসহ প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখান। মামলার ৫ নং আসামি নাজিম উদ্দিন বাবুল উস্কানিমূলক একটি পোস্ট দেয়। মামলার ৭নং আসামি মোহাম্মদ জুয়েল খাঁন ইঙ্গিত পূর্বক কমেন্ট করে সকলকে সাবধান করেন। এসব ঘটনায় শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবদুল ছবুরের পুত্র ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদি হয়ে সাইবার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে পিবিআইয়ের এসআই মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা আছে মর্মে সাইবার ট্রাইবুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত মামলার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসমিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই পরোয়ানামূলে পটিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ ওমর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।