চট্টগ্রামে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কাল

নগরে ৩৩ পয়েন্টে বিক্রি হবে, জেলায় পাবে ৮০ হাজার ৬৯৪ পরিবার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে শুরু করছে সরকার। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল থেকে নগরী ও জেলায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের মাঝে ১৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে।
নগরীর ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি খোলা ট্রাকে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন ওএমএসের চাল বিক্রি করা হবে। নগরীর অপর ১৯টি পয়েন্টে নির্ধারিত ডিলারের দোকানে ১৯ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা বা ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন এবং ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকা দামে ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবে। অপরদিকে আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ উপজেলায় ৮০ হাজার ৬৯৪ পরিবার প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। এই কার্যক্রম আগামী তিন মাসব্যাপী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলবে। প্রতিদিন নগরীতে ১৪টি ট্রাক সেইলের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন একটি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে ভোক্তাদের জন্য। একজন ভোক্তা বা ক্রেতা ৩০ টাকা দামে ট্রাক থেকে ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবেন। একই কর্মসূচি চলবে সকল পৌরসভা ও উপজেলাগুলোতেও। চট্টগ্রামের উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে প্রতিদিন ভোক্তাদের জন্য দেয়া হবে ১০৯ মেট্রিক টন বিশেষ ওএমএসের চাল।
এদিকে বিশেষ ওএমএসের পাশাপাশি নগরীতে ১৯টি পয়েন্টে ডিলারের মাধ্যমে (ডিলারের দোকানে) ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন ১৫ টাকা কেজি দরে। এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবে। আর ওএমএসের চাল যে কেউ কিনতে পারবে। ৩০ টাকা কেজিতে এ চাল একজন ৫ কেজি করে কিনতে পারবে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হয় বছরে ৫ মাস-সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল। কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবার পাবে। এই কর্মসূচিতে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী অনেক উপকৃত হবে। এর ফলে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে ৩ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩
পরবর্তী নিবন্ধরোয়াংছড়িতে বৈদ্যকে গুলি করে হত্যা