এবারের এশিয়া কাপে প্রথম দিনেই মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তান। দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে তারা। আজ আফগানদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ তাদের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে। যদিও বলা হচ্ছে এই ম্যাচে স্পিনাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রন করবে। তবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করছেন এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করবে দুই দলের ব্যাটিং গভীরতার উপর। আফগানিস্তানের টপ অর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে কোনো সংশয় নেই তার। তবে তিনি সন্দিহান আফগানদের মিডল অর্ডার নিয়ে। তিনি বলেন টি-টোয়েন্টির ভাগ্য আসলে নির্ভর করে ব্যাটিং গভীরতার উপর। সেটা আছে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব ফিরেছে। বাংলাদেশ দল ভালো করবে। আফগানিস্তানের হয়তো ব্যাটিং গভীরতা ততটা বেশি না। এই জায়গাটায় পিছিয়ে থাকবে ওরা।
শক্তি, সামর্থ্য, বৈচিত্র্যর দিক থেকে বোলিংয়ে এগিয়েই থাকবে আফগানিস্তানই। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবির মতো স্পিনার আছে দলে। সঙ্গে আছে দুই তরুণ পেসার ফজলহক ফারুকি ও নাভিন-উল-হক। যে কোনো উইকেটে প্রতিপক্ষকে নাড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে। তবে এই বোলারদের নিয়ে গড়া দলকে তো আগে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ দলের অল রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, আফগান বোলিং আক্রমণ সামাল দেওয়ার সামর্থ্য ভালোভাবেই আছে তাদের। এটা ঠিক ওদের বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও অনেক ভালো। শেষ কয়েক দিন আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি ওদের বোলারদের নিয়ে। ওদের যে কয়জন বোলার আছে, তাদের কীভাবে খেলতে হবে, এটা নিয়ে সবাই পরিষ্কার। সে অনুযায়ী আমরা অনুশীলন করেছি। দেশেও করেছি, এখানেও করেছি। এখন বাস্তবায়ন করতে হবে মাঠে। মাঠে খেলতে হবে এবং প্রয়োগ করতে হবে।
আমরা এর আগেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং জিতেছি। এমন না যে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। হ্যাঁ, ওদের বোলিং লাইনআপ অনেক শক্তিশালী। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরাও অনেক অভিজ্ঞ ও ভালো কাজ করছে। সবাই এখন ভালো টাচে আছে। তবে ভালো প্রস্তুতিও সব সময় যথেষ্ট হয় না। সাফল্যের জন্য নির্ভর করে অনেক কিছু। মিরাজের মতে এর একটি খোলা মন নিয়ে খেলা। যে শট যে ভালো খেলে, সেটার উপর আত্মবিশ্বাস থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওইটাই অনুসরণ করছি। স্পিনিং উইকেটে রশিদ, নবি ও মুজিবদের সামলানোও কঠিন কাজ হবে । যারা এই ধরনের উইকেটে হয়ে উঠতে পারেন অপ্রতিরোধ্য। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং উইকেটের ধারণা নিয়ে শারজাহতে খেলতে গিয়ে দেখি সেখানে সহায়তা আছে স্পিনারদের জন্য। এবার তাই পরিকল্পনায় আছে স্পিনিং উইকেটও। তবে মিরাজ মনে করেন, উইকেট শেষ পর্যন্ত স্পিনারদের হয়ে কথা বললেও ব্যবধান গড়ে দেবেন ব্যাটসম্যানরাই। স্পিনিং উইকেট হলে আমরাও সুবিধা পাব। ওরাও সুবিধা পাবে। কারণ ওদের স্পিন আক্রমণ ভালো। আমাদেরও স্পিন আক্রমণ ভালো। দেখতে হবে কারা ভালো ব্যাটিং করছে ওই উইকেটে। যারা ভালো ব্যাটিং করবে অবশ্যই তাদের ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।












