ইপিজেড থানা এলাকায় গৃহবধূ শিরিনা আক্তারের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তার বড় মেয়ের বয়ান এবং শিরিনার স্বামী আলী আজগরের পলায়ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনে সন্দেহের উদ্রেক করেছিল শুরুতেই। অবশেষে স্বামী আলী আজগর (৩৫) র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা করেছে আলী আজগর। গত শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন দক্ষিণ রাজপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ এর টিম। এর আগের দিন ইপিজেডের একটি ভাড়া বাসা থেকে আলী আজগরের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। সে সময় থেকেই পলাতক ছিল আজগর।
আজগরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, গত ২৬ আগস্ট ইপিজেড থানা এলাকায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিরিনার মা বাদী হয়ে আলী আজগরকে আসামি করে একটি মামলাও দায়ের করেন।
র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, আলী আজগর আকন্দ গ্রেপ্তার এড়াতে হত্যাকাণ্ডের পর পরই পালিয়ে পিরোজপুর আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে জানতে পারে আসামি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন দক্ষিণ রাজপাশা এলাকায় জনৈক এসকেন্দারের বাড়িতে অবস্থান করছে। এর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলী আজগর হত্যার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে প্রায়ই তাদের ঝগড়া-বিবাদ হতো। সেদিনও ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে স্ত্রী শিরিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।