শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপে হাতাহাতি, চেয়ার ভাঙচুর

স্বেচ্ছাসেবক লীগ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৭ আগস্ট, ২০২২ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মিছিল নিয়ে আসা দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় এক গ্রুপের হামলায় অপর গ্রুপের কর্মীরা দ্বিতীয় তলা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০-৩০ জোড়া জুতা হলের প্রবেশ পথে ফেলে যায়। প্রায় ৫-৬টি চেয়ার ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হলের ভেতরে ও বাইরে নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে স্লোগানে শোক দিবসের আবহে বিঘ্ন ঘটায় কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মহানগর নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের শাসন-বারণও দমাতে পারেনি-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানার নিয়ে আসা
উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের। এদের প্রায় সকলেই স্কুল-কলেজের ছাত্র।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ফারুক আমজাদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজমসহ কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা শোক দিবসের আলোচনায় শ্লোগান না দেয়ার জন্য বারবার মাইকে ঘোষণা দেন। কিন্তু কেউ শুনেনি কারো কথা। এক পর্যায়ে উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার পরও বিচ্ছিন্ন ভাবে হলের বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ফারুক আমজাদ খান বক্তব্য দিতে উঠে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রিয় সহকর্মী বন্ধুরা নেতৃত্ব দিতে গেলে আপনাদের বুকের মধ্যে উচ্ছ্বাসের পাশপাশি আরো অনেক অনুভূতির প্রয়োজন। প্রিয়-ভাই-বোনেরা-আপনাদের মধ্যে সহনশীলতা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কোনটা শোক দিবস-আর কোনটা উচ্ছ্বাস আর আনন্দের-সেটা আপনাদের বুঝতে হবে। শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শ্লোগানে-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা চলে না। আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা বক্তব্যের মাঝখানে শ্লোগান দিবেন না। এখানে যে বক্তব্য দেয়-তার প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হয়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধতাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে
পরবর্তী নিবন্ধটুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সিটি মেয়রের শ্রদ্ধা