১৫ আগস্ট জাতি হিসেবে আমরা লজ্জায় অবনত হই

চেম্বারের আলোচনা সভায় এম এ লতিফ এমপি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ আগস্ট, ২০২২ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

আগামী প্রজন্মকে গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। গতকাল সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
এম এ লতিফ বলেন, ১৫ আগস্ট প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে আসে এবং জাতি হিসেবে আমরা লজ্জায় অবনত হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতা-মাতা পরিবার হারানোর ব্যথা দমিয়ে রেখে তাঁর দক্ষতা ও গতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে পৃথিবীর বুকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা তাঁর ধৈর্য্য ও একাগ্রতার কারণে সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সবক্ষেত্রে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বকালে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নীতিমালার মৌলিক বিষয় খুব স্বল্প সময়ে নির্দিষ্ট করা হয় যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সময়ের বিবর্তনে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে দ্বিতীয়, মৎস্য খাতে চতুর্থ স্থান, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
চেম্বার সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জনগণের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার চিত্র ফুটে উঠে। চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনে চিটাগাং চেম্বার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। তারই অংশহিসেবে চেম্বার কাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্‌তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. শাহরিয়ার জাহান, সাকিফ আহমেদ সালাম, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ কৃষ্ণ কুমার দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে প্রাইজবন্ড, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে মো. এমরান হোসেন, শিউলি আকতার ও মুহাম্মদ সালমান ফার্সি এবং কলেজ পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সুমাইয়া বিন্‌তে ইদ্রিস, নাদিয়া সুলতানা ও জোহরা নাসরিন (কায়েনাত)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪ হাজার কর্মীর পাশে কেএসআরএম
পরবর্তী নিবন্ধরাখাইনে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী