সরকার তো সবসময়ই দেখে এসেছে যে তেলের দাম ৫ টাকা বৃদ্ধি হলেই গণপরিবহনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি টাকার তুলনায় কয়েকগুণ বাড়ানো হয়; আর আনফরচুনেটলি তার প্রভাব পড়ে চাল, ডাল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সবকিছুর উপর! সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এখানে চাইছে টা কী? তারা তো এমন নয় যে সহজ অংক বুঝবে না!
সিম্পল ক্যালকুলেশন; স্বল্প পরিমাণ ভর্তুকির জন্য বিলিয়ন কোটি টাকা বেড়ে যায় যা কোনোদিনও কমে না; এমনকি তেলের দাম এখন জিরো টাকা করলেও যানবাহনের ভাড়া কমবে না, বা দু-এক টাকা কমলেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে না! এদিকে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে কিন্তু চাকুরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পায় না। তাই, তাদের জীবন ও জীবিকার পথ বন্ধুর হয়, কালো অন্ধকারের মতো। তাদের জীবনযাত্রার মান একটি দোদুল্যমান ও সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ে-যা কেউ দেখে না। কাউকে বোঝানো যায় না! না বোঝানো যায় পরিবারকে, না চাকরিরত প্রতিষ্ঠান কর্তাদের! জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির যুক্তি দিয়ে বলা হয়ে থাকে- জনকল্যাণেই কৃষিসহ এইধরনের খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়; আনফরচুনেটলি, তাতে কিন্তু কোনোভাবেই সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হয় না। কারণ এখানে কেবল মুষ্টিমেয় বা বৃহৎ গোষ্ঠী সুবিধা পায়, সবাই পায় না। অন্যদিকে, পরিবহন সেবার আওতায় সবাই পড়ে। কৃষক শ্রেণি, জেলে থেকে সবাই সরাসরিই পরিবহন সুবিধা উপভোগ করে। তাই জ্বালানি তেল বা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথেই দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হয় আকাশচুম্বি।
যদি কোনো খাতে নতুন করে ভর্তুকি দিতে হয়, নতুন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করুন যেই খাতগুলি থাকবে শুধু উচ্চ-শ্রেণির জন্য। কিন্তু যেখান থেকে আমরা সামগ্রিকভাবে সুবিধাগুলো উপভোগ করছি, সেগুলোর ভালো করতে যেয়ে আমাদের উল্টো টাই হচ্ছে অর্থাৎ আরো অসহনীয় ক্ষতি হচ্ছে! কর্তৃপক্ষ সমীপে বলছি; দেখুন, ঘুম থেকে ডেকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো বা কারো পকেট মেরে তাকে একটা গিফট কিনে দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই কিন্তু! যদি মানুষের কল্যাণেই সরকার কাজ করে থাকে, তাহলে মানুষের জন্য বড় অকল্যাণকর কাজ করে ছোট কল্যাণ সাধন করার মানেই বা কী?












