ডিম-মুরগিতে স্বস্তি

বিক্রি কমে যাওয়ায় দামও কমছে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ আগস্ট, ২০২২ at ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ

বাজারে চাহিদা কমায় এক সপ্তাহ ধরে কমছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে খামারিরা ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বাড়িয়ে দেন। এ সময় মুরগির কেজি দুইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়া ডিম বিক্রি হয় দেড়শ টাকায়। হঠাৎ মুরগি ও ডিমের এমন দাম বৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা বিপাকে পড়েন। বাধ্য হয়ে সীমিত আয়ের অধিকাংশ মানুষ মুরগি ও ডিম কেনা কমিয়ে দেন। ফলে নিম্নমুখী হয় বাজার। স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ডিম ও মুরগির দামে। গতকাল নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়। গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। নগরীর ব্যাটারি গলি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি কমে যায়। ফলে খামারিরা দাম কমাতে বাধ্য হন। তবে এটাও ঠিক এখন ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। এগুলো মুরগির দামের সাথে যুক্ত হবে। এ ছাড়া মুরগির খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়েছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের ডিম বিক্রেতা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ডিমের দাম কমার সাথে সাথে বিক্রিও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ডিমের সরবরাহও বেড়েছে। সামনে ডিমের দাম আরো কমে যাবে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে আসা ক্রেতা জোনায়েদ রশিদ বলেন, মুরগি ও ডিমের দাম অনেক বাড়ার পর এখন কমছে। এখনো অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। নিত্যপণ্যের বাজারে অনেকদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। তারপরেও মুরগি ও ডিমের দাম কমাটা অনেকটা মন্দের ভালোর মতো অবস্থা।
হাটহাজারী মুনিয়া পুকুর পাড় এলাকার খামারি শহীদুল ইসলাম বলেন, মুরগি উৎপাদনে খরচের তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। গত ছয় মাসে প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৯০০ টাকা। এ ছাড়া ওষুধ ও অন্যান্য ব্যয়ের কারণে মুনাফা করাটা দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দুটি মুরগির শেডের মধ্যে একটি বন্ধ করে দিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভটভটিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেট কার দোকানে, পথচারী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধইপিজেডে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষক গ্রেপ্তার