দীর্ঘ ১১ বছর পর লালদীঘি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। দলটির চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন কোতোয়ালী থানা ইউনিটের উদ্যোগে গতকাল সোমবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। লালদীঘি মাঠের পশ্চিমে জেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ শেষে মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বক্সিরহাট বিট হয়ে আন্দরকিল্লাহ মোড়ে এসে শেষ হয় মিছিল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রধান বক্তা ছিলেন। কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় নগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন। ‘জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। জানা গেছে, লালদীঘি মাঠে সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নগর বিএনপির ব্যানারে সমাবেশ হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। এর আগে ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর একই মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাচনকেন্দ্রিক পথসভা হয়েছিল। ওই হিসেবে গতকালের সমাবেশটি দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে লালদীঘি মাঠে বা জেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ করার জন্য সিএমপি থেকে আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। এবারও অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। সমাবেশের কয়েক ঘন্টা আগে দুপুর ১২টায় আমাদের অনুমতি দেয়। তবে আমাদের পরিকল্পনা ছিল অনুমতি না দিলেও সমাবেশ করবো। হয়তো সেটা জানতে পেরে অনুমতি দিয়েছে। তিনি বলেন, কোতোয়ালী থানার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে এসে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সাধারণ মানুষও যোগ দেয় মিছিলে।
সমাবেশে বক্তারা যা বললেন :
সরকার ভয় দেখিয়ে নিজেদের গদি ধরে রাখতে চায় দাবি করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। তাদের উন্নয়নের ফাঁকা বুলি সব ফাঁস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে সরকার বিদ্যুতের অনেক গল্প শুনিয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ না দিতে পারায় সেই ফাঁকা বুলি মানুষ জেনে গেছে। কিন্তু মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এবার এক দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছে মানুষ। রাজপথ ফুঁসে উঠেছে। এক দফা দাবি হচ্ছে, সরকারের পতন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পুরো দেশে গণরোষ ছড়িয়ে পড়ছে। তেলের দাম বাড়িয়ে এ সরকার আবারও প্রমাণ করেছে তারা গণবিরোধী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী মিটু, নুরুল আকতার, আবদুল বাতেন, ইউছুপ শিকদার, কৃষকদলের নাজিমুল হক নাজু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, ইসমাইল বালী, আলাউদ্দিন আলী নুর, আলী আব্বাস খান, খন্দকার নুরুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, আবু মহসিন চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহম্মেদ, সৈয়দ আবুুল বশর, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মো. ইউছুপ, আবদুল মান্নান, নেজাম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম, অ্যাড. ইমতিয়াজ উদ্দিন তারেক, মো. ইছহাক, মো. ফিরোজ, দিপক চৌধুরী কালু, মো. রিয়াদ, দিদারুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, সংগ্রাম, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোশারফ হোসেন, সেলিম খান, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, নুর হোসেন নুরু, মো. হাসান, আবদুল জলিল, এন মো. রিমন, আবদুল্লাহ আল হাসান, মো. আবিদ, ছাত্রদলের ইয়াকুব আলী জুয়েল, আবু সুলতান সানি।